নিজস্ব সংবাদদাতা : টাঙ্গাইলের গোপালপুরের হেমনগর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বহিস্কার করা সাত ছাত্রলীগ নেতা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন। আজ মঙ্গলবার গোপালপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়।
হেমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল খান লিখিত প্রতিবেদনে দাবি করেন, হেমনগর ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনের সময় ছাত্রলীগ নামধারি কয়েক দুর্বৃত্ত গত ৩ সেপ্টেম্বর তার উপর সশস্র হামলা চালায়। হামলায় তিনি রেহাই পেলেও হেমনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কবির হোসেন নিহত হন। হামলাকারিরা এখনো গ্রেফতার হননি। এসব খুনিরা হেমনগর কলেজের ৩৮ ছাত্রছাত্রী চলতি এইচএসসি পরীক্ষায় প্রবেশ পত্র না পাওয়ায় পরীক্ষা দিতে পারেনি মর্মে বানোয়াট অভিযোগ তুলে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচার চালায়।
হেমনগর কলেজের অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে সোহেল আরো জানান, ওই কলেজের এইচএসসির ৫৫৩ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে ৩৮ জন নানা কারনে এবার ফরমফিলাপ করেনি। সুতরাং ওইসব ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে তিনি ও কলেজ শাখা ছাত্রলীগ নেতারা ফরমফিলাপের নামে কোনো টাকা আদায় করেননি। ওই খুনি চক্র হেমনগর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র কবির হোসেনকে গত রবিবার ২ এপ্রিল কৌশলে গোপালপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিসে ডাকিয়ে নিয়ে সাত ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে এইচএসসি ফরমফিলাপে টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করায়। এর প্রেক্ষিতে উপজেলা ছাত্রলীগ দুদিন পর এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে তাকেসহ সাত ছাত্রলীগ নেতাকে দল থেকে সাময়িক বহিস্কার করে। সোহেল খান এ বহিস্কার প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, ছাত্রদলকর্মী শিমলাপাড়ার মফিজুল ও মান্নার নেতৃর্ত্বে কথিত ছাত্রলীগ নামধারি পিচ্চি সোহেল, সন্ত্রাসী রনি, আপেল ও মনিরকে সাথে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এরা প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন সোহেল খান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হেমনগর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ হোসেন, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য মো. ইলিয়াস, ইমন খান, শিপু শেখ, তালহা ময়েন পরাগ ও সুমন প্রমুখ।